দুপুরটা ছিল কাঁচের মতো স্বচ্ছ—
আকাশের এক কোণে লাল আভাটাও ছিল অল্প
স্বপ্নবাজ শিশুরা কেউ সূর্যের ছবি আঁকছে,
কেউবা শোনাচ্ছে গতরাতের গল্প।
চোখে মুখে রঙিন স্বপ্নের মেলায়
হয়তো ম্রিয়মান ছিল ধূসর বিষন্নতা
বিনুনিতে শোভা ছড়ানো সাদা ফিতে
জানিয়ে দিচ্ছিল শান্তির অমোঘ বার্তা
বন্ধুর সাথে বন্ধুর আত্মার আলিঙ্গনে
থমকে কি গিয়েছিল সময়?
বাহিরে অপেক্ষমাণ অসংখ্য জোড়া চোখ
শরীরের গন্ধে খুঁজে নিবে মাতৃত্বের স্বাদ।
এইতো, এইতো, আর একটু পরেই
বাজবে কাঙ্ক্ষিত ঘন্টা, ঢং.....ঢং....ঢং.....
হঠাৎ, ঐ দূরের আকাশে
একটা কালো বিন্দু—
বড় হতে হতে গর্জে উঠলো দানবের মতো
মূহুর্তেই আগুনের গোলা
কি ভয়ঙ্কর! কি বিভৎস!
ডানাগুলো ছিঁড়ে গেছে কোথাও,
শরীর জুড়ে শুধু আগুনের হলকা,
এ উত্তাপ থামানোর কেউ নেই।
মেঘ ভেদ করে নামল সেই লৌহদানব,
দেয়াল ভেঙে ঢুকে পড়ল শ্রেণিকক্ষে—
এক মুহূর্তে নিভে গেল আলো,
শিশুরা হারিয়ে গেল বিস্ফোরণের গোলকধাঁধায়।
নিষ্ঠুর কালো ধোঁয়া দখল করল অসহায় শ্বাসনালী।
জ্বলন্ত বই খাতা উড়ছে বাতাসে—
ভস্মীভূত দেহাবশেষ ছড়িয়ে গেল যত্রতত্র
ঠিক যেন পুড়ে খাক জাতির মেরুদণ্ড!
একটি ছোট হাত আঁকড়ে ছিল পানির বোতল
পেরেছিল কি দিতে শেষ চুমুক?
পিপাসিত মনে কি জেগেছিল প্রশ্ন?
নাকি কেবলই অপেক্ষা ওপারে পাড়ি জমানোর!
বাইরে মাঠে পড়ে আছে
ভাঙা দোলনা আর পুড়ে যাওয়া রঙপেন্সিল,
কোথাও গলে যাওয়া আধ খাওয়া টিফিন বক্স।
ফোঁটা ফোঁটা ছোপ ছোপ লাল রঙ—
যেগুলো পানি নয়,
বাবা মায়ের বুক চেরা গলিত হাহাকার
যার হয় না কোন বিনিময়।
সেই দিনের আকাশ এখনো জানে না
সে কেবল নীল ছিল না--
বরং, নিজের বুক ভেঙে
চুরমার করেছিল অগনিত স্বপ্ন।
আগুনে গিলে ফেলা স্বচ্ছ দুপুর
রুমানা নাসরীন
দুপুরটা ছিল কাঁচের মতো স্বচ্ছ—
আকাশের এক কোণে লাল আভাটাও ছিল অল্প
স্বপ্নবাজ শিশুরা কেউ সূর্যের ছবি আঁকছে,
কেউবা শোনাচ্ছে গতরাতের গল্প।
চোখে মুখে রঙিন স্বপ্নের মেলায়
হয়তো ম্রিয়মান ছিল ধূসর বিষন্নতা
বিনুনিতে শোভা ছড়ানো সাদা ফিতে
জানিয়ে দিচ্ছিল শান্তির অমোঘ বার্তা
বন্ধুর সাথে বন্ধুর আত্মার আলিঙ্গনে
থমকে কি গিয়েছিল সময়?
বাহিরে অপেক্ষমাণ অসংখ্য জোড়া চোখ
শরীরের গন্ধে খুঁজে নিবে মাতৃত্বের স্বাদ।
এইতো, এইতো, আর একটু পরেই
বাজবে কাঙ্ক্ষিত ঘন্টা, ঢং.....ঢং....ঢং.....
হঠাৎ, ঐ দূরের আকাশে
একটা কালো বিন্দু—
বড় হতে হতে গর্জে উঠলো দানবের মতো
মূহুর্তেই আগুনের গোলা
কি ভয়ঙ্কর! কি বিভৎস!
ডানাগুলো ছিঁড়ে গেছে কোথাও,
শরীর জুড়ে শুধু আগুনের হলকা,
এ উত্তাপ থামানোর কেউ নেই।
মেঘ ভেদ করে নামল সেই লৌহদানব,
দেয়াল ভেঙে ঢুকে পড়ল শ্রেণিকক্ষে—
এক মুহূর্তে নিভে গেল আলো,
শিশুরা হারিয়ে গেল বিস্ফোরণের গোলকধাঁধায়।
নিষ্ঠুর কালো ধোঁয়া দখল করল অসহায় শ্বাসনালী।
জ্বলন্ত বই খাতা উড়ছে বাতাসে—
ভস্মীভূত দেহাবশেষ ছড়িয়ে গেল যত্রতত্র
ঠিক যেন পুড়ে খাক জাতির মেরুদণ্ড!
একটি ছোট হাত আঁকড়ে ছিল পানির বোতল
পেরেছিল কি দিতে শেষ চুমুক?
পিপাসিত মনে কি জেগেছিল প্রশ্ন?
নাকি কেবলই অপেক্ষা ওপারে পাড়ি জমানোর!
বাইরে মাঠে পড়ে আছে
ভাঙা দোলনা আর পুড়ে যাওয়া রঙপেন্সিল,
কোথাও গলে যাওয়া আধ খাওয়া টিফিন বক্স।
ফোঁটা ফোঁটা ছোপ ছোপ লাল রঙ—
যেগুলো পানি নয়,
বাবা মায়ের বুক চেরা গলিত হাহাকার
যার হয় না কোন বিনিময়।
সেই দিনের আকাশ এখনো জানে না
সে কেবল নীল ছিল না--
বরং, নিজের বুক ভেঙে
চুরমার করেছিল অগনিত স্বপ্ন।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
একটি বিদ্যালয় ভবনে বিমান ক্রাশ হয়ে অনেক শিশু মৃত্যুবরণ করে। অনেকে আবার নির্মমভাবে পুড়ে যায়। তারই বর্ণনা রয়েছে এই কবিতায়। অতএব কবিতাটি বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
০৮ জুলাই - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর,২০২৫